ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দরুন অনেক বড় ভোগান্তি অতি অল্প চেষ্টাতেই নিরসন করা যায়। এটা বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষের একক চেষ্টাতেও হতে পারে। আবার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি, চেয়ারম্যান, মেম্বারগন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগেও হতে পারে। স্বেচ্ছাশ্রমের সাহায্যে বিদ্যুৎ লাইনের গাছপালা কাটা, সুবিধাভোগী গ্রাহক কর্তৃক তাদের unspecified সার্ভিস লাইন develop করানো, স্টাফদেরকে সামান্য ওভারটাইম দিয়ে loop/jumper, bushing, earthing, lightning arrester, nut-bolt, ইত্যাদি টাইট দেওয়া, প্রয়োজনে আর্থিং পরিবর্তন করা, ট্রান্সফর্মারের লোড ব্যালেন্স করা, ট্রান্সফর্মারের তেল সেনট্রিফিউজ করা, ইত্যাদি সংরক্ষন(maintenance) কাজ অল্প আয়াসেই করা সম্ভব।
পূরনো লাইন তো বটেই, নূতন লাইন, উপকেন্দ্র(ট্রান্সফর্মার), ইত্যাদি সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক, বাৎসরিক Routine maintenance-এর নিয়ম আছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় Logistic support (লোকবল, যানবাহন, মালামাল, অর্থ)-এর অভাবে স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষ এগুলো(Routine maintenance work) করেনা বা অনেকের অদক্ষতা, দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলার কারনেও করানো হয়না। বাইরে স্থাপিত ট্রান্সফর্মারে ধূলাবালি জমে, বৃষ্টির/কুয়াশার পানি ঢুকেও এর অনেক ক্ষতি করে, যার ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। এগুলো একটু মুছে পরিষ্কার করে দিলেও, যা অত্যন্ত সহজ কাজ, অনেক বিদ্যুৎ বিভ্রাট রোধ করা যায়। বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট, নানা কারনে স্পার্কিং-এর ফলে সার্ভিস লাইনে, জয়েন্টে, ট্রান্সফর্মার কানেকশনে কার্বন জমে, যা লাইনকে/সিস্টেমকে সর্ট সার্কিট করে দিতে পারে। এগুলো ঘষে-মেজে দিলেও অনেক বিদ্যুৎ বিভ্রাট রোধ করা যায়।
এলাকায় প্রচুর প্রাইভেট ইলেকট্রিসিয়ান আছে, যারা বিদ্যুৎ কর্মীর চেয়েও এক্সপার্ট। গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায়/উদ্যোগে এদেরকে কাজে লাগিয়েও গ্রাম/এলাকাভিত্তিক একাজগুলো করা যায়। সৎ ও ভালোমানুষের উদ্যোগে পরিবার প্রতি৫–১০টাকা করে চাঁদা নিয়ে অথবা ১–২জন অবস্থাপন্ন ব্যক্তি ৫০০–১০০০টাকা দিয়ে এদের পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করে কয়েক ঘন্টার কাজে গ্রাম/এলাকার বিদ্যুৎলাইন, ট্রান্সফর্মারের সংস্কার করলে ৬–১২মাস আর তেমন কোন ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটবেনা।
আরও দেখুন Total quality management(TQM) এবং আমাদের উন্নয়ন( http://corruptionwatchbd.com/14-2/ ).