চট্টগ্রাম: দুর্নীতির নতুন সংজ্ঞা তৈরি করে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রায়হান ইউসুফ এখন শত শত কোটি টাকার মালিক। অভিযোগ উঠেছে, তিনি সাবেক মেয়রের নাম ভাঙিয়ে তদবির বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজির মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। যেখানে তার অনুসারী ও সাধারণ কর্মীরা মামলায় জর্জরিত, সেখানে রায়হান ইউসুফ দিব্যি রাজার হালে ঘুরছেন। এমনকি হননি কোন মামলার আসামীও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন যুবলীগ নেতা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, “আ জ ম নাছিরের পুরো দলটাকে শেষ করার মূল কারিগর এই রায়হান ইউসুফ।” ওই নেতা আরও বলেন, “পারসেন্টেজ না দিলে কাউকে কোনো কাজ দিত না। টেন্ডার থেকে শুরু করে সব কিছুতে চলত তার একচ্ছত্র আধিপত্য। তার এই দুর্নীতি ও ক্ষমতার দাপটে আজ নাছির ভাইয়ের দলটার এমন করুণ অবস্থা।”
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, জামায়াতের সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালি এবং বিএনপি নেতা আকতার খানের আশ্রয়ে আছেন তিনি। এই রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নাম না প্রকাশের শর্তে আরেক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন,”রায়হান ইউসুফ নাছির ভাইয়ের গ্রুপটাকে ভেতর থেকে শেষ করে দিয়েছে। তারা আমাদের নাম ভাঙিয়ে সব ধরনের তদবির বাণিজ্য করেছে। আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি, আর উনি আরাম-আয়েশে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকছেন।”
অভিযোগ রয়েছে, এই দুর্নীতিবাজ পিএস আ জ ম নাছিরের সরলতার সুযোগ নিয়ে দলের ভেতরেই বিভাজন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। তার এই বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আজ দলের ত্যাগী নেতারা হতাশ। রায়হান ইউসুফ কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন, তা তদন্ত করে দেখা গেলে তার দুর্নীতির আসল চিত্র বেরিয়ে আসবে বলে অনেকে মনে করেন।