দক্ষিণ এশিয়া ডেস্ক: ভারতের ছত্তীসগড় রাজ্যের বিজাপুরে সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরকে (২৮) হত্যা করা হয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, স্থানীয় ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রশেখরের ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি ফাঁসের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর ৩ জানুয়ারি সুরেশের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মুকেশ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন এবং বিজাপুরের রাস্তা প্রকল্পে দুর্নীতির খবর প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর রিপোর্টে প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়মের তথ্য উঠে আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন তদন্ত শুরু করলে মুকেশ হত্যার হুমকি পান।
মুকেশের দাদা, যুকেশ চন্দ্রকর, দাবি করেন, ঠিকাদার সুরেশ ও তার সহযোগীরা মুকেশকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিল। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, মুকেশকে হত্যার পর সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহ লুকানো হয়। হায়দরাবাদ থেকে ঠিকাদার সুরেশসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আনন্দবাজার আরও জানিয়েছে, মুকেশের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর সাম্প্রতিক রিপোর্টের সঙ্গে হত্যার সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্র মতে, সুরেশ চন্দ্রশেখর সরকারি টেন্ডার পেতে ক্ষমতা ও প্রভাব খাটাতেন এবং দুর্নীতির প্রতিবাদ করা সাংবাদিকদের হুমকি দিতেন।
মুকেশের পরিচালিত ইউটিউব চ্যানেল ‘বস্তার জংশন’, যেখানে তিনি বস্তারের নানা খবর তুলে ধরতেন, ছিল বেশ জনপ্রিয়। আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে, এই হত্যাকাণ্ড সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।